শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড মহামারির মধ্যেও সারাবিশ্বে থেমে নেই সহিংসতা, সংঘাত, নিপীড়ন কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা। এতে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড আট কোটি ২০ লাখে। জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। বিডিনিউজ।
বাস্তুচ্যুত মানুষের এই সংখ্যা এক দশকে দ্বিগুণ হয়েছে, তার মানে বিশ্বে এক শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর গতকাল শুক্রবার বার্ষিক ‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে’ এ-সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির মধ্যে মানুষের চলাফেরা সীমিত থাকায় বিদেশে আশ্রয় চাওয়া মানুষের সংখ্যা কমেছে এবং সামগ্রিকভাবে অভিবাসন কমেছে। তার পরও গতবছর নানা বাধা-নিষেধের মধ্যেও বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটি ১২ লাখ মানুষ, যা ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি।
বেশিরভাগ মানুষই বাড়িঘর-ছাড়া হয়েছে নিপীড়ন, সংঘাত, সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে। কভিডের কারণে আন্তর্জাতিক সীমানা পেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বহু মানুষ নিজ দেশের ভেতরেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মোট বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ চার কোটি ৮০ লাখ মানুষই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, বলছে ইউএনএইচসিআর।
সংস্থাটি আরও বলছে, ২০২১ সালে কভিডের বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে গেলে সংঘর্ষ ও সংঘাত আরও বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি খারাপের দিকে যাবে খাদ্যসংকট। চরম আবহাওয়া ও মহামারির কারণে সংকট আরও প্রকট হবে। দক্ষিণ সুদান, মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক ও সিরিয়ায় দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ। বিশ্বব্যাপী চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও আরও বাড়তির দিকে যাবে।