শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে হতাশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর: সিএনবিসি।
আইএমএফ জানায়, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি মন্থর হচ্ছে। এ থেকে শিগগির পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ। গত বছর বিশ্ব অর্থনীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখলেও এবার তা ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংস্থার মতে, ২০২১ সালের অস্থায়ী পুনরুদ্ধারের পর ২০২২ সালেও ক্রমবর্ধমান হতাশার ধারা অব্যাহত রয়েছে। কারণ ঝুঁকিগুলোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া চীন ও রাশিয়ার মন্দার কারণে চলতি বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের ব্যয় প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে।
চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লেগেছে। এর মধ্যে মহামারির কারণে তা আরও মারাত্মক হয়েছে। দেশে দেশে ধারণার চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোয়ও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এছাড়া কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব ও লকডাউনের কারণে চীনে যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল তার চেয়েও মারাত্মক মন্দা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
বিশ্বে সব ধরনের ভোগ্যপণ্য, বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বেড়েছে। চলতি বছর অগ্রসর অর্থনীতিতে খরচ ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়বে। এছাড়া উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে খরচ ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুঁকিগুলো অতিমাত্রায় নেতিবাচক প্রবণতার দিকে ঝুঁকছে।
আইএমএফের মতে, বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার মান সংকুচিত করছে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি। তাই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা নীতিনির্ধারকদের জন্য প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।