Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 11:47 pm

বিশ্ব আইওটি মানচিত্রে বাংলাদেশ

দক্ষিণ এশিয়ায় এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক সুবিধা চালু করা শীর্ষ অপারেটরের মধ্যে গ্রামীণফোনকে স্বীকৃতি দিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন ‘জিএসএমএ’। বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
জিএসএমএ’র এ স্বীকৃতি বাংলাদেশ ও গ্রামীণফোনকে আইওটি’র বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে দিয়েছে।
ন্যারো ব্যান্ড ইন্টারনেট অব থিংস (এনবি-আইওটি) এক ধরনের অত্যাধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা প্রতিদিন ওয়েস্ট বিন ও পাওয়ার মিটারের মতো কোটি মানুষের জন্য যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এনবি-আইওটি তুলনামূলকভাবে বেশি জ্বালানিসাশ্রয়ী। নিয়মিত ফোরজি যোগাযোগে যে ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হয়, এনবি-আইওটি প্রযুক্তিতে তা বেশি সাশ্রয়ী। অর্থাৎ সেন্সর ও মিটারের কাভারেজ থাকবে, এমন সব রিমোট জায়গাতেও এনবি-আইওটি সহজে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে পাইপ কিংবা নালায় স্থাপিত ওয়াটার মিটার কিংবা বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের সেন্সরও এখন থেকে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা যাবে।
গ্রামীণফোন বিদ্যমান ফোরজি নেটওয়ার্কের সঙ্গে এনবি-আইওটি’র সক্ষমতা বৃহৎ পরিসরে আইওটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ইউটিলিটি ও মিউনিসিপ্যালিটিকে আইওটি যোগাযোগে আলাদা নেটওয়ার্ক তৈরি ও চালনার প্রয়োজন পড়বে না। স্মার্ট ইলেকট্রিসিটি, গ্যাস ও ওয়াটার ইটারিংয়ের পাশাপাশি সিটি পার্কিং, সিটি লাইটিং ও যানবাহনে এ নেটওয়ার্কে যুক্ত করে বিভিন্ন শিল্প খাতে অটোমেশন করা যাবে।
আইওটি নেটওয়ার্ক সেবা উম্মোচনকালে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আইওটি ও এআই একইসঙ্গে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধি ও কার্যদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এ যাত্রা একই সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াস ও মানুষকে শক্তিশালী নেটওয়ার্কে যুক্ত করার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের অংশ। নিকট ভবিষ্যতে ফাইভ-জি প্রযুক্তির সঙ্গে আইওটির সমন্বয় দেশের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বি^ত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি জিএসএমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪৫টি দেশের একটি, যেখানে এনবি-আইওটি সুবিধাসম্পন্ন বাজার রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক রয়েছে।
জিএসএমএ ইন্টেলিজেন্সের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে সেলুলার আইওটি সংযোগ হবে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন। এর মধ্যে লাইসেন্সড এলপিডব্লিউএ সংযোগ হবে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন।