নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে সমঝোতা হয়েছে। এখন কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি বলেছেন, ‘বিবদমান দুই পক্ষের সঙ্গে দায়িত্ব পালন নিয়ে কথা হয়েছে এবং কিছু অমীমাংসিত বিষয় মীমাংসা হয়েছে। দুই পক্ষই একমত হয়েছে।’
গতকাল রোববার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে দুই পক্ষের মাঝে সমঝোতা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মাহবুব আলম বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। কোনো ক্রমেই হকার বসতে দেয়া হবে না। এবারও দুই পর্বের ইজতেমায় ছয় হাজার পুলিশ দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ছাড়াও আনসার-র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনী প্রতি বছরের মতো নিয়োজিত থাকবেন।’
সভা শেষে জুবায়েরপন্থিদের প্রতিনিধি প্রকৌশলী মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা দুপক্ষই আলোচনায় বসেছিলাম। সব বিষয়ে ফয়সালা হয়েছে। এখন আর কোনো ঝামেলা নেই।’
একই গ্রুপের শুরা সদস্য আহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ফাঁকা জায়গায় সামিয়ানা বিভিন্ন জেলা থেকে আসবে।’ সামিয়ানার সংকট আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো সংকট নেই। ইজতেমার জায়গা বেড়েছে তাই চাহিদাও বেড়েছে।’
সাদ গ্রুপের প্রতিনিধিদলের প্রধান রেজাউল করিম বলেন, ‘সমঝোতা হয়েছে। দেখা যাক, কী হয়।’ একই গ্রুপের শুরা সদস্য মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছু দামি জিনিসপত্র তারা নিয়ে গিয়েছিল গত বছর। সেগুলোর বিষয়ে কথা হয়েছে।’
এদিকে বিশ্ব ইজতেমার মূল ময়দানের অনেক অংশ এখনও ফাঁকা। শেষ হয়নি মূল মঞ্চের কাজও। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দিয়াবাড়ীতে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ময়দান প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা বন্ধ হওয়ার পর ওই মাঠ থেকে সামিয়ানাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম এখনও টঙ্গী ময়দানে আসেনি। ফলে আয়োজনে সংকট চলছে।’
সভায় ছিলেন স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুরের ডিসি আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, জুবায়েরপন্থিদের প্রতিনিধি প্রকৌশল মেজবাহ উদ্দিন, সাদপন্থিদের আমির রেজাউল করিম সাদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিশ্ব ইজতেমা সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় পর্ব ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা।