নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশের মানুষকে ক্যানসার সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আট বিভাগেই একটি করে আঞ্চলিক ক্যানসার কেন্দ্র (আরসিসি) গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধ ও গবেষণা কেন্দ্র এবং সহযোগী সংগঠনগুলো।
বিশ্ব ক্যানসার দিবস আজ। সেই উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ক্যানসার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
সে সময় আঞ্চলিক ক্যানসার কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এসব কেন্দ্রে ১০০ বেডের ইনডোর, বিকিরণ চিকিৎসার জন্য একটি টেলিথেরাপি, ব্রাকিথেরাপি মেশিন, ক্যানসারের অপারেশনের ব্যবস্থা, ইনডোর ও ডে-কেয়ারে কেমোথেরাপির ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাহলে সেখানে ক্যানসারের যথার্থ চিকিৎসা সম্ভব হবে।
গতকালের সংবাদ সম্মলনে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক ও শাহানা আলম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রতি বছর বাংলাদেশে ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মারা যান ৯১ হাজার। ফলে ক্যানসার চিকিৎসা ব্যবস্থার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে মাত্র একটি। তাই কেমোথেরাপির জন্য দুই থেকে তিন সপ্তাহ, বিকিরণ চিকিৎসার জন্য পাঁচ মাস পর্যন্ত অনেককে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য এসে রোগী হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ না পেলে স্বজনসহ অবর্ণনীয় পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এ অবস্থায় অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে আরও বির্পযয়ের মুখোমুখি হন। চিকিৎসা প্রার্থীর চাপ সামলানো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রাথমিক প্রতিরোধের প্রধান উপাদান ক্যানসারের ঝুঁকি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা ও টিকাসহ সুরক্ষামূলক ব্যবস্থায় উদ্বুদ্ধ করা। এ ক্ষেত্রটি সবচেয়ে অবহেলিত। সরকারের কিছু উদ্যোগ আছে, সমন্বয়ের অভাবে তা দৃশ্যমান প্রভাব ফেলতে পারছে না।