১৯ নভেম্বর উদ্যাপিত হলো বিশ্ব টয়লেট দিবস। বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশন সংকট মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-৬ অর্জনের উদ্দেশ্যে পালন করা হয় এ দিবস। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিত করা দিবসটির লক্ষ্য।
ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশনের সর্বশেষ তথ্যমতে, বিশ্বে ২৬০ কোটি মানুষ বর্তমানে সঠিক ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অর্থাৎ, বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ স্যানিটেশন সুবিধার বাইরে রয়ে গেছে।
দেশের বিদ্যালয়গুলোর ৭৫ শতাংশ টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। এ হিসেবে প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে এসব শিক্ষার্থী।
ওয়াটার এইড ও সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের জরিপ অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ৫৫ লাখ ভাসমান মানুষ চলাফেরা করে। এছাড়া ১২ থেকে ১৫ লাখ প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে। এসব মানুষের জন্য সঠিক টয়লেটের ব্যবস্থা অপ্রতুল।
বিশ্বের অনেক দেশের চিত্র একই রকম। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের অবস্থান কিছুটা ভালো।
দেশে দেশে টয়লেট সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন ‘বিশ্ব টয়লেট দিবস’-এর প্রচলন করে। পরে ২০১৩ সালে জাতিসংঘ দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। ইউএন-ওয়াটার বিশ্বের সব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দিবসটি পালনের তাগিদ দিয়ে আসছে। শতভাগ টয়লেট সুবিধা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালন করা হয়।