শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ব আগামী এক দশকের মধ্যে প্রথম ট্রিলিওনেয়ার পেতে পারে বলে জানিয়েছে দাতব্য সংস্থা অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল। খবর: এপি।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে। দাভোসের এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য কিছুটা ভিন্ন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম মনে করে, করপোরেশনগুলোর কাজ কেবল মুনাফা বৃদ্ধি করা নয়, বরং বৃহত্তর সামাজিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মানবিক ও সামাজিক আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করাও তাদের কাজ। কিন্তু অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এই উদ্দেশ্য মোটেও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এই বৈষম্য প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাংক ও ফোর্বসের ধনীদের তালিকার ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়।
মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের মাধ্যমে মোট সম্পদের পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে যে পাঁচজন শীর্ষ শতকোটিপতির কথা অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা হলেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক, এলভিএমএইচের প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট, ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, আমাজনের প্রধান জেফ বেজোস ও বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট।
অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছরে বিশ্বের ৮০ কোটি কর্মীর মজুরি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি। ফলে বার্ষিক হিসাবে তাদের আয় ২৫ দিনের মতো কমে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে এক হাজার ৬০০টি বড় করপোরেশনের মধ্যে মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ করপোরেশন জনসমক্ষে কর্মীদের জীবনধারণের উপযোগী মজুরি দেয়ার অঙ্গীকার করেছে এবং তাদের সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, তাদেরও সেই মজুরি দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাহী পরিচালক অমিতাভ বেহার বলেন, অক্সফামের অনুমান, আগামী দশকের মধ্যে আমরা ট্রিলিওনেয়ার পেতে যাচ্ছি। একই সঙ্গে দারিদ্র্য দূর করতে আমাদের ২০০ বছরের বেশি সময় দরকার।
ভবিষ্যতে যে ব্যক্তি ট্রিলিওনেয়ার হবেন, তার সম্পদমূল্য হবে সৌদি আরবের সমান।