নিজস্ব প্রতিবেদক: নকল ও ভেজাল পণ্য প্রতিরোধে শুধু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নয়, এসব পণ্যের অসাধু উৎপাদকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে যেসব কারখানায় নকল ও ভেজাল পণ্য উৎপন্ন হয়, সেখানেই প্রথমে অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করুন। এ কাজে বিএসটিআইতে কর্মরত সবাইকে সর্বোচ্চ নৈতিকতা ও পেশাদারির পরিচয় দিতে হবে।
গতকাল বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত ‘পরিমাপ পরিবহনের নিয়ন্ত্রক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বিএসটিআই মিলনায়তনে এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। এছাড়া বিএসটিআই’র মহাপরিচালক সাইফুল হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, বিএসটিআই’র পরিচালক আসাদুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে পরিমাপের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, যে কোনো পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরিমাপের সঠিক কাঁচামাল ব্যবহার করা জরুরি। না হলে উৎপাদিত পণ্য জননিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। অবকাঠামো নির্মাণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পণ্য ওজন, পরিবহন তৈরিসহ সব ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ অনুসরণের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শুধু দেশের সাধারণ জনগণের নয়, সবাই পণ্যের ক্রেতা ও ভোক্তা। তাদের যে কেউ নকল ও ভেজালপণ্য ব্যবহার করে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হতে পারেন। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নকল ও ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিপণন প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে বিএসটিআইসহ সবাইকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এদিকে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, জননিরাপত্তার জন্য পরিবহন খাতে পরিমাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। তৈরি পোশাকশিল্পের পর ওষুধশিল্প খাতে মান নিয়ন্ত্রণের ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলে সক্ষম হয়েছে। পরিবহন খাতে মান নিয়ন্ত্রণ করে দেশে রফতানিমুখী নতুন শিল্প খাত গড়ে তোলা সম্ভব।