Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 4:46 pm

বিশ্ব মান দিবস

আজ বিশ্ব মান দিবস। এ বছরের বিশ্ব মান দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বির্নিমাণে মান’। এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হতে যাচ্ছে।

১৯৪৬ সালের ১৪ অক্টোবর লন্ডনে ২৫টি দেশের প্রতিনিধি মান প্রণয়ন কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক মান সংস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে সম্মত হন। এ দিনটিই মান দিবস হিসেবে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়। যদিও এর এক বছর পর ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও) প্রতিষ্ঠিত হয়, তথাপি ১৯৭০ সালে প্রথম বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়। মান প্রণয়নের বর্তমান অবস্থার বিভিন্ন দিকের ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছর মান দিবসের একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। ১৯৪৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৪ অক্টোবর পণ্যসেবার মানোন্নয়ন ও মান বজায় রাখার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ, উদ্যোক্তা ও ভোক্তাদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে বিশ্বের তিনটি আন্তর্জাতিক মান সংস্থা ‘আইএসও’, ‘আইইসি’ ও ‘আইটিইউ’র উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির প্রধান কারণ হলো, বিশ্বের মানুষকে সচেতন করে তোলা এবং পণ্যের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কাজ করা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের অবদানের প্রতি সম্মান জানা বিশ্বের অন্য দেশের মতো আমাদের দেশেও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নামের একটি মান সংস্থা রয়েছে।

১৯৬৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে কাজ করে আসছে। খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য এবং সেবা কার্যক্রম চাহিদা অনুযায়ী লাভ করা জনমানুষের নাগরিক অধিকার। এক্ষেত্রে মানের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। জনমানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মান সংস্থাগুলো তাদের গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরিপূর্ণ মানের খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য উৎপাদনে কর্তৃপক্ষ ও উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। সেই সঙ্গে ভোক্তাদের সঠিক সেবা প্রদানের দিকনির্দেশনাও প্রদান করে মান সংস্থাগুলো।

ভোক্তাদেরও পণ্যের মান নিয়ে সচেতন হতে হবে। ভোক্তারা সচেতন হলে কোনো পণ্য কেনার আগে অবশ্যই এর গায়ে বিএসটিআইয়ের লোগো আছে কি না, তা দেখে নেবেন। লোগো থাকার পরও পণ্যের গুণগত মান সন্তোষজনক না হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে হবে। ভোক্তারা যে খাদ্য ও ভোগ্যপণ্য ভোগ করছেন, সে সম্পর্কে নিজেরা সচেতন হলে এবং উদ্যোক্তারাও পণ্যের মান বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর হলে প্রতি বছর মান দিবস পালন করা সার্থক হবে।