নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মৌচাষ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী ‘মধুমেলা ২০১৮’ শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মতিঝিলে বিসিক ভবনে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
দেশের বিভিন্ন এলাকার মৌচাষিদের উৎপাদিত মধু বিক্রি ও প্রদর্শনের লক্ষ্যে মেলায় ৪০টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলা চলবে ১০ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা উš§ুক্ত থাকবে।
মধুমেলা উপলক্ষে বিসিক ভবনের সপ্তম তলায় সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ’ বিষয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মৌচাষ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক খোন্দকার আমিনুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন বিসিক দেশব্যাপী ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাতের উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের সেবা-সহায়তা প্রদান করে আসছে। পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রমও পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে বিসিক মৌচাষের কার্যক্রম গ্রহণ করে। দেশে বর্তমানে দুই প্রজাতির, যথা অ্যাপিস মেলিফেরা এবং অ্যাপিস সেরেনা বা দেশজ প্রজাতির মৌমাছি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌবাক্সে চাষ করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশব্যাপী মৌচাষে মৌচাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে মধু উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মানুষের আয়বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. আহসানুল হক। মৌচাষ কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, বাসার পরিচালক জগদীশ চন্দ্র সাহা ও মৌচাষ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবাদুল্লাহ আফজাল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন।
বিসিক ভবনে পাঁচ দিনব্যাপী মধুমেলা
