নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবনতি হলো অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের সাত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘এ’ ক্যাটেগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে কোম্পানিটির অবনতি হলো। ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে আগামী রোববার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।
এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে। ক্যাটেগরি পরিবর্তনের প্রথম ৩০ দিন এ ঋণ দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ আগামীকাল থেকে পরবর্তী ৩০ দিন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির এক লাখ ৪৬ হাজার ৮০৭টি শেয়ার মোট ১১৪ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ২১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।
তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০ জুন ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা এক পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৮ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল যথাক্রমে এক টাকা দুই পয়সা ও ১৫ টাকা সাত পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ছয় কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ছয় কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট সাত কোটি ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৯৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ৪০ দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫০ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার।