নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে স্থানান্তরিত হলো ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
সূত্রমতে, কোম্পানিটি ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে চলে গেল। ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে আগামী সোমবার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে। সদ্যসমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৯ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৪ টাকা ৬১ পয়সা।
এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা আইন অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েছে। ক্যাটেগরি পরিবর্তনের প্রথম ৩০ দিন এই ঋণ দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ আগামী সোমবার থেকে পরবর্তী ৩০ দিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
গতকাল শেয়ারদর পাঁচ দশমিক ১৫ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা। দিনজুড়ে ছয় লাখ ৯৪ হাজার ৪৩৯টি শেয়ার মোট ৩০২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন
১৫৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৯৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
চলতি হিসাববছরের প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ১৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৬ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ২৭ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা, যা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সময় ছিল ১৪ টাকা ৬১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে দুই কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ২৯ হাজার ৫৬৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪২ দশমিক ৮৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৯ দশমিক ২৯ শতাংশ ও বাকি ৩৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।