নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে নামল বিমা খাতের কোম্পানি মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সাত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘এ’ ক্যাটেগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে নামল কোম্পানিটির শেয়ার। ‘বি’ ক্যাটেগরির অধীনে গতকাল সোমবার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে প্রথম ৩০ দিন নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি সাত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৪৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ১১ পয়সা ও ১৭ টাকা ৯৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা দুই পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৯৭ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৮ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৭০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৮ টাকা ২৭ পয়সা।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ বা দুই টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩১ টাকা। দিনজুড়ে ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪১০টি শেয়ার মোট ৯০০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি সাত লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩৯ টাকায় হাতবদল হয়।
কোম্পানিটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৩ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট চার কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৮ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪১ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত ২৭ দশমিক ৯৩ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৩৮ দশমিক ৭৫।
