নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারের ক্যাটেগরি পরিবর্তিত হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনায় ‘বি’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে এ কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীনে লেনদেন শুরু হবে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই তাদের শেয়ার ‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে গেল। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৭৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮৫ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৫ পয়সা (ঘাটতি)।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩১ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩০৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৩ কোটি ১০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৪ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৫ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।