নিজস্ব প্রতিবেদক: বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মা বীরমাতা মালেকা বেগম (৯৬) গুরুতর অসুস্থ্ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি গত দুইদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। হঠাৎ করেই অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ তৈয়বুর রহমানের তত্ত্বাবধানে আছেন।
ডাঃ তৈয়বুর রহমান জানান, বীরমাতার পা ফুলে গেছে, তার কিডনিতে সমস্যা ও রক্তশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া লো প্রেসার এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। আমারা তাকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। তবে তাকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামালের ভাইর ছেলে অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম আহমেদ লিটন জানান, সোমবার রাত থেকে বীরমাতা অসুস্থতায় ভুগছিলেন, মঙ্গলবার সকালে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। এয়ার এ্যম্বুলেন্সে দ্রুত ঢাকা নিয়ে যেতে হবে, এ জন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন। বাবা হাবিবুর রহমান ছিলেন হাবিলদার।
১৯৮২ সালে মেঘনা নদীর ভাঙনে দৌলতখানের বাড়িটি বিলীন হয়ে গেলে সদরের মৌটুপী গ্রামে চলে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন সেখানে ৯২ শতাংশ জমিতে ‘শহীদ স্মরণিকা’ নামে একতলা পাকা ভবনটি নির্মাণ করে পরিবারটিকে পুনর্বাসন করেছে। প্রয়াত হাবিলদার হাবিবুর রহমানের ২ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে মোস্তফা কামাল ছিলেন সবার বড়।