Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 1:06 am

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ার অতিমূল্যায়িত হচ্ছে

প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এনটিভি ‘মার্কেট ওয়াচ’ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে শেয়ার বিজের নিয়মিত আয়োজন ‘এনটিভি মার্কেট ওয়াচ’ পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো:

 

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে যে শেয়ারগুলো বাজারে আসছে সেগুলো অতিমূল্যায়িত হয়েই আসছে। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি কঠোর হয় তাহলে নতুন আসা কোম্পানিগুলোর দর খুব বেশি বাড়ার সুযোগ পাবে না। এতে ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে আসতে আগ্রহী হবে না, যা বাজারের জন্য খারাপ। আবার এসইসি একটু নমনীয় হলে বা ইস্যুয়াররা যদি নিয়মের মধ্যে কোনো ফাঁকফোকর পায় তাহলে শেয়ারদর অতিমূল্যায়িত হওয়ার সুযোগ থাকে। অতিমূল্যায়িত ও অবমূল্যায়িত দুটোই বাজারের জন্য খারাপ। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়। খুজিস্তা নূর-ই-নাহারীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মো. ফোরকান উদ্দিন, এফসিএ এবং শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সিইও এমরান হাসান।

এমরান হাসান বলেন, কয়েকদিন ধরে বাজার কিছুটা ধীর গতিতে চলছে। এর কারণ বিনিয়োগকারীরা বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। ইতোমধ্যে বাজারে প্রচুর রাজনৈতিক গুজব আসছে, কারণ এক বছর পরেই নির্বাচন। এক বছরে রাজনৈতিক অস্থিরতা কেমন হবে, সে বিষয়ে চিন্তায় পড়েছে সবাই। আর যখন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয় তখন স্বাভাবিকভাবে বাজারে তার প্রভাব পরে। ফলে কিছু বিনিয়োগকারী ‘কী হয় না হয়’ তার জন্য অপেক্ষা করছেন। এছাড়া ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক বছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। বাজার ভালো-খারাপ হওয়ার পেছনে এদের বড় ভূমিকা আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেগুলেশনের পাশাপাশি ব্যালেন্স শিট বা আয়ের খাতটিকে ভালো করার জন্য হয়তো তারা প্রফিট সংগ্রহের চেষ্টায় থাকবে।

মো. ফোরকান উদ্দিন বলেন, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে যে শেয়ারগুলো বাজারে আসছে, সেগুলো অতিমূল্যায়িত হয়ে আসছে। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি কঠোর হয় এবং এমন পদক্ষেপ নেয়, যাতে বাজারে নতুন আসা কোম্পানিগুলোর দর খুব বেশি বাড়ার সুযোগ নেই। এতে ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে আসতে আগ্রহী হবে না, যা বাজারের জন্য খারাপ। আবার এসইসি একটু নমনীয় হলে বা ইস্যুয়াররা যদি নিয়মের মধ্যে কোনো ফাঁকফোকর পায় তাহলে শেয়ারদর অতিমূল্যায়িত হওয়ার সুযোগ থাকে। অতিমূল্যায়িত ও অবমূল্যায়িত দুটোই বাজারের জন্য খারাপ। নতুন ইস্যুগুলোর ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থাও অনুধাবন করেছে, প্রকৃতপক্ষে শেয়ারদর মোটেও এত হওয়া উচিত নয়। এ কারণে যারা বিট করেছেন, তারা কিসের ভিত্তিতে দর নির্ধারণ করেছেন, তার ব্যাখ্যা চান নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এখানে কি তারা কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থা মূল্যায়ন করেছে, না কোনো ইস্যু, ডিল বা চাপের বিষয় ছিল, যাতে এ দরে বিট করে তারা উপকৃত হয়েছেন? আর এই বিষয়গুলো বাজারসংশ্লিষ্টদের ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।

 

শ্রুতি লিখন: রাহাতুল ইসলাম