বুঝেশুনে নেট ব্যবহারেই সমাধান

 

সাইবার অপরাধী তথা সাইবার ক্রিমিনাল ও ইন্টারনেটের ডার্ক সাইট থেকে নিরাপদ থাকা উচিত। এ লেখায় উল্লিখিত কৌশলগুলো অবলম্বন করলে আপনি ইন্টারনেটে নিরাপদে থাকতে পারবেন। কিছু টেকনিক্যাল বিষয় মেনে চললে ঝুঁকি এড়ানো যায়। ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার শেষ কিস্তি ছাপা হলো আজ।

নিয়মিতভাবে ঘনঘন আপডেট করা

আপনার অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার অথবা অন্য কোনো সফটওয়্যারে যদি কোনো খুঁত থাকে, তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে কোনো সময় আপনার সিস্টেমটি দুষ্টুচক্রের দখলে চলে যেতে পারে। তবে এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা, সফটওয়্যার প্রস্তুতকারকরা সফটওয়্যারের ওইসব হোল খুব শিগগিরই মেরামত করে ও এর আপডেট উš§ুক্ত করে। তবে এ আপডেট সত্যিকার অর্থে কোনো কাজেই লাগবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তা আপনার সিস্টেমে ইনস্টল করছেন। সুতরাং, কোনো সফটওয়্যারের আপডেট অবমুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিস্টেমের নিরাপত্তার স্বার্থে যত দ্রুত সম্ভব তা ইনস্টল করে নিন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় ওপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হওয়ার জন্য সেট করা। তবে এ কথা সত্য, জাভা ও অ্যাডোবি অ্যাক্রোবেটকে আপডেট করা বেশ ঝামেলাদায়ক। আবার কোনো কোনো আপডেট মাঝেমধ্যে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপডেট করা

এখনকার অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো আগের ইনস্টল করা সফটওয়্যারগুলোর মতো তেমন নিরাপদ নয়। ফলে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা মানেই যে আপনি ব্যবহƒত ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকবেন এমন কোনো কথা নেই। জিরো ডে থ্রেডের ক্রমবৃদ্ধির আগে অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো তাদের সফটওয়্যারকে নিয়মিতভাবেই আপডেট করে আসছে। এসব সফটওয়্যার নব্বই শতাংশের বেশি ঝুঁকি মোকাবিলা করতে পারে। যদি আপনি কিছু অর্থ খরচ করে বিটডিফেন্ডার বা ইন্টেলের ম্যাকাফি কিনতে অনাগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে পারেন এভিজি বা অ্যাভাস্ট নামের অ্যান্টিভাইরাসটি, যা হবে যথার্থ সমাধান।

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা

ডেটা সুরক্ষার জন্য আমরা সাধারণত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি। ডেটা সুরক্ষার জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত না পাসওয়ার্ডের ভালো প্রতিস্থাপন আমাদের কাছে থাকছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাসওয়ার্ডের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। সুতরাং নিজের প্রতি সুবিচার করুন এবং একটি ভালো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার

ব্যবহার করুন। যেমন- ওয়ান পাসওয়ার্ড, ড্যাশল্যান বা লাস্টপাস। এ দুটিই পাসওয়ার্ড ভোল্ট হিসেবে কাজ করবে, যা বিভিন্ন সাইটের জন্য হাজার হাজার লগইন যেমনি স্টোর করবে, তেমনি অটো-জেনারেট করবে খুব কঠিন পাসওয়ার্ড, যা আপনার পক্ষে ক্র্যাক করা অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রধান করণীয় হলো, আপনার ভোল্টের মাস্টার পাসওয়ার্ডকে কোনোভাবে না ভোলা।

লগইন প্রোটেক্ট করা

যদি আপনার পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে থাকে, তাহলে তা বোঝার জন্য অন্যতম এক উপায় হলো, খেয়াল করে দেখুন অপরিচিত কোনো মেশিন থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে কেউ লগইন করেছে কিনা। আপনার কাছে প্রমাণ করানোর একটি উপায় হিসেবে বর্তমানে বেশি থেকে বেশি সাইট ফেসবুক এবং টুইটার ব্যবহার করছে, যা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুকে সিকিউরিটি চেকআপ পেজ

ফেসবুকে রয়েছে একটি সিকিউরিটি চেকআপ পেজ। আপনি এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন কেউ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করেছে কি না এবং অপরিচিত কাউকে এক ক্লিকে লগআউট করুন। অ্যাপল, গুগল, টুইটার এবং ইয়াহুর মতো কোম্পানি তথাকথিত ‘ঞড়ি ভধপঃড়ৎ’ বা

‘ঞড়ি-ংঃবঢ় ’-এর অথেনটিকেশনের বিস্তার ঘটায়। এজন্য আপনাকে অপরিচিত ডিভাইস থেকে লগইনের সময় এন্টার করতে হবে অতিরিক্ত তথ্য। যদি মনে করেন কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে অ্যাকসেস করেছে, তাহলে ভালো হয় পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা এবং তারপর টু-ফ্যাক্টর বাস্তবায়ন করা।

সব ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড নিরাপদ করা

অনেক ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্ব দেন না। আপনি যদি ওয়াইফাই ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন আপনার হোম ওয়াইফাইয়ের জন্য রয়েছে দুটি পাসওয়ার্ড। একটি নেটওয়ার্কের জন্য যেটি আপনি নতুন ডিভাইস থেকে লগঅনের সময় টাইপ করেন এবং অপরটি হলো রাউটারের জন্য। এটি আপনাকে নেটওয়ার্কের ভেতরে ঢোকার অনুমতি এবং নেটওয়ার্ক সেটিং পরিবর্তন করার সুযোগ দেবে। যেমন- ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই লগইনের প্রথম সেট পরিবর্তনের কথা মনে রাখেন, তবে দ্বিতীয় সেট পরিবর্তনের কথা মনে রাখেন না। রাউটার ডিফল্ট সবার কাছে সুপরিচিত। যেমন-‘অফসরহ’ ও ‘চধংংড়িৎফ’। সুতরাং, আপনার হোম নেটওয়ার্কের রেঞ্জের মধ্যে যে কেউ আপনার রাউটারে লগইন করতে পারবে ও সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে এবং আপনাকে লক করে দিতে পারবে। এক্ষেত্রে যদি কেউ ইচ্ছে করে, আপনার নেটওয়ার্কের সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবে।

 

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০