ফারুক আলম, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে রুহুল আমিন বাবুল-শাহ নেয়াজ নিশাদের তিন দিন আগের করা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা কমিটি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বুড়িমারী স্বাক্ষর প্লাজা মাঠে দিনব্যাপী সম্মেলন হয়েছে। এ সম্মেলনে হাতিবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহাগকে সাধারণ সম্পাদক ও ছায়েদুজ্জামান সায়েদকে সভাপতি করা হয়েছে।
নতুন এ কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে মতভেদ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোট ৫৩ জন। বেশ কয়েকটি লাইসেন্সের বিপরীতে ৫৭ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি বকেয়া পরিশোধ করেনি এমন লাইসেন্স বাতিল করার চিঠি এসেছে।
আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ নেয়াজ নিশাদ বলেন, আজকের (গতকাল) করা কমিটির সভাপতির ছায়েদ এন্টারপ্রাইজের বিপক্ষে দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকা রাজস্ব বাকি রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনায় সেটি চলছে। লাইসেন্স বাতিলের চিঠি কার্যকর হলে তার লাইসেন্সটা বাতিল হবে। তাই তিনি সংসদ সদস্যের ছেলে মাহমুদুল হাসান সোহাগকে নিয়ে পাল্টা কমিটি করলেন। আমাদের কমিটিটাই বৈধ।
এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান সোহাগের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গতকালের সম্মেলন স্থলে দাবি করা হয়েছে, ২০০২ সালে একটি কমিটি করা হয়, যার মেয়াদ ২০০৪ সালে শেষ হয়। এখন থেকে নতুন কমিটির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
