বুরকিনা ফাসোয় ফের সেনা অভ্যুত্থান

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বুরকিনা ফাসোয় আট মাসের ব্যবধানে ফের সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। এতে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন বর্তমান সামরিক সরকারের প্রধান পল-হেনরি দামিবা। খবর: রয়টার্স।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে এ নিয়ে আট মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটল। সেনা অভ্যুত্থানে সাবেক প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরেকে হটিয়ে জানুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করেছিলেন দামিবা।

সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ত্রাওরে এ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। দেশটিতে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম বলেন, সরকার ভেঙে দেয়া হয়েছে। সংবিধান ও অন্তর্বর্তী সনদ স্থগিত করা হয়েছে।

ক্যাপ্টেন ত্রাওরে আরও বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র বিদ্রোহ মোকাবিলায় অক্ষমতার কারণে একদল কর্মকর্তা দামিবাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি ঘোষণা দেন, দেশের সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। সব ধরনের রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের কর্মকাণ্ড স্থগিত থাকবে।

গত শুক্রবার বুরকিনা ফাসোর সরকার বলেছে, সেনাবাহিনীর ‘অভ্যন্তরীণ সংকট’-এর কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা চলছে।

এদিন ভোরের আলো ফোটার আগে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সম্প্রচার কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। টেলিভিশনের স্ক্রিনে ‘নো ভিডিও সিগন্যাল’ বার্তা দেখাচ্ছিল।

অভ্যুত্থানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফানে ডুজারিক।

জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সামরিক সরকার। কিন্তু এর পরও মার্চের মাঝামাঝি থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলা বেড়ে চলছিল।

দুই বছর ধরে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোয় অভ্যুত্থান নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাহেল অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের প্রবল উপস্থিতি, হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং জঙ্গিদের পরাজিত করার পথ বের করতে না পারা দুর্বল সরকারগুলোর ওপর মানুষের আস্থাহীনতার সুযোগ নিচ্ছে অভ্যুত্থানকারীরা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০