শেয়ার বিজ ডেস্ক: বুরকিনা ফাসোয় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২২ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। দেশটির কসি প্রদেশে সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। খবর: রয়টার্স।
বুরকিনা ফাসোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় ২২ বেসামরিক নিহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন এক কর্মকর্তা।
এক বিবৃতিতে আঞ্চলিক গভর্নর বাবো পিয়েরে ব্যাসিঙ্গা জানান, হামলাকারীরা মালি সীমান্ত থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে কসির প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। ওই এলাকায় গত রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হামলার পর ওই এলাকায় সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া যারা পার্শ্ববর্তী অন্যান্য শহরে পালিয়ে গেছেন, তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান গভর্নর।
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়দা-সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে লড়াই করছে বুরকিনা ফাসো। চলমান এই সংঘাতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং হাজারো মানুষ নিহত হয়েছেন।
বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি দেশটিতে হামলা বাড়িয়েছে আইএস ও আল কায়দার অনুসারীরা। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির অঙ্গীকার করলেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছে এবং ব্যাপক সহিংসতা চলছে।
গত মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলের সেনো প্রদেশে সেতেঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা চালিয়ে অন্তত ১০০ বেসামরিককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গত এক বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র তখন রয়টার্সকে জানায়, এ ঘটনায় ১৬৫ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারের মুখপাত্র বিলগো বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে এ রক্তপাত ঘটানো হয়েছে। দেশের ওপর আঘাত করা হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেতেঙ্গার ওই গ্রাম থেকে আশপাশের শহরগুলোয় প্রায় তিন হাজার মানুষ পালিয়ে গেছেন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে নতুন হামলার ঘটনা ঘটল।