নিজস্ব প্রতিবেদক:কভিড-১৯ টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা কমানো হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘এসএমএস ছাড়াও ষাট বছরের কম বয়সী কো-মরবিড রোগীরা আগের কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে তাদের রোগের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ থাকতে হবে।’
গতকাল তিনি বলেন, ‘মৃত্যু ঝুঁকিতে আছেন ও শারীরিকভাবে অসুস্থ এমন ব্যক্তিদের কভিডের টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় খুরশীদ আলম বলেন, ‘যাদের কো-মরবিডিটি আছে, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে আছেন, তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা হবে না।’
দেশে গত ২৮ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও কভিড সংক্রমণ মোকাবিলায় সম্মুখসারির ব্যক্তিরা বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। বুস্টার ডোজ পাওয়ার জন্য কভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ছয় মাস পার হতে হবে।
এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘কভিড আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি, তাদের বুস্টার ডোজ নেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে টিকা কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে যেতে হবে। তাকে বলতে হবে তার শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। একটা লোকের ক্যানসার আছে, কিন্তু বয়স ৪০। সে বাদ যাবে কেন? আমরা তাকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করব।’
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘টিকার জন্য নিবন্ধন করার সময় সব তথ্য নেয়া হয়েছে। এটা দেখেই নিশ্চিত হওয়া যাবে তার কো-মরবিডিটি আছে কি না। আর কেউ যদি নিবন্ধনের সময় তথ্য না দিয়ে থাকে, তাহলে সে দেখাবে যে ক্যানসারে আক্রান্ত।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ধরনের কো-মরবিডিটি আছে। আমরা চিন্তা করছি, যেসব কো-মরবিড রোগী বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যেমন ক্যানসারে আক্রান্ত, অ্যান্টিক্যানসার ড্রাগ খেয়েছে, রেডিয়েশন পেয়েছে, কেমোথেরাপি পেয়েছে, ইমিউন দুর্বল ধরনের মানুষের আমরা প্রাধান্য দিতে চাচ্ছি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গত রোববার পর্যন্ত সাত কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন পাঁচ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জন।