নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।গতকাল রাত ৯টার ( ৩০ জুন) দিকে বুয়েটের ২০২১-২২ ব্যাচের স্নাতক ভর্তির ফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে ফাইয়াজের মেধাক্রম ৪৫০ তম। সুযোগ পেয়েছেন যন্ত্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হওয়ার।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েট’র শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।
আবরার ফাইয়াজ বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় খুশি পরিবারের সদস্যরা। তবে তার নিরাপত্তা নিয়ে এখনও সন্দিহান তারা। কারণ, এই প্রাঙ্গণেই ভাই হারিয়েছেন ফাইয়াজ, সন্তান হারিয়েছেন বরকত উল্লাহ-রোকেয়া খাতুন দম্পতি। তাই অনেকটা ভেবেচিন্তেই পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা বরকত উল্লাহ। একইসঙ্গে আরেক ছেলেকে হারানোর আতঙ্কও বিরাজ করছে বাবার মনে। তিনি বলেন, ফাইয়াজ গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে (আইইউটি) কম্পিউটার সায়েন্সে ফাইয়াজ ভর্তি রয়েছে। বুয়েটে ভর্তি করানো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।
আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘রাত ৯টার পর বুয়েটের ফল পেলাম। ফল পেয়ে আমি খুশি। ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফল এখনও বাকি। আবার আইইউটিতে ভর্তি আছি। এখন পর্যন্ত কোথায় পড়বো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে, বুয়েটে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। ভর্তি কার্যক্রম ঈদের আগে হচ্ছে না। ১০-১৫ দিন সময় পাচ্ছি। এই সময়ে ভেবে দেখি। পরিবারের সঙ্গেও আলাপ করে দেখি। এরপর সিদ্ধান্ত নেবো।
কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফাইয়াজ। আক্ষেপ প্রকাশ করেন ভাইয়ের সঙ্গে পড়তে না পারার। বলেন, আমার খুব ইচ্ছে ছিল দুই ভাই একসঙ্গে বুয়েটে পড়বো। কিন্তু সেটিতো আর সম্ভব নয়।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন।২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।এ মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিতরা সবাই বুয়েটের ছাত্র ছিলেন।