বৃথা গেল শেহজাদ ঝড় হ্যাটট্রিক হার রংপুরের

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বড় কোনো তারকা নেই। মাঠের পারফরম্যান্সেও এর প্রভাব পড়ছিল রংপুর রেঞ্জার্সের। তবে গতকাল সেখান থেকে বের হওয়ার দারুণ উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ শেহজাদ। শুরু থেকেই ব্যাট হাতে এ ডানহাতি তুলেছিলেন ঝড়। তাতে বড় সংগ্রহও গড়েছিল উত্তরবঙ্গের দলটি। কিন্তু বল হাতে কেউ জ্বলে উঠতে না পারায় বৃথা যায় শেহজাদের দুর্দান্ত ইনিংসটি। এর ফলে মোহাম্মদ নবীর দল হারে টানা তিন ম্যাচ।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল কুমিল্লা জেতে ৬ উইকেটে। মোহাম্মদ শেহজাদের ঝড়ো ফিফটিতে রংপুর ২০ ওভারে তুলেছিল ১৮১ রান। কুমিল্লা জিতেছে ২ বল বাকি রেখে।

রান তাড়ায় গতকাল কুমিল্লার কোনো ব্যাটসম্যান পারেনি ৫০ স্পর্শ করতে। তবে পাঁচ ব্যাটসম্যান দারুণ খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

গতকাল রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ১২ রান। সে সময় বল হাতে নেন টম অ্যাবেল। তার করা প্রথম বলেই ছক্কায় ওড়ান ডেভিড মালান। পরের বলে লেগ বাই থেকে আসে এক রান। তৃতীয় বলে অবশ্য দাসুন শানাকা সীমানায় ধরা পড়ে  ফেরেন। ম্যাচ জমে ওঠে আবার। কিন্তু চতুর্থ বলে জোরালো শটে চার হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন মালান। তিন ম্যাচে কুমিল্লার এটি দ্বিতীয় জয়।

রংপুরের হয়ে গতকাল শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শেহজাদ। ৮৬ রানের মাথায় এ ওপেনার যখন সানজামুল ইসলামের বলে দাসুন শানাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, তখন মাত্র ৮.১ ওভার শেষ হয়েছে। ২৭ বল খেলে সাতটি চার ও চারটি ছয়ে ৬১ রান তোলেন শেহজাদ। ওদিকে নাঈম আগেই আউট হয়ে ফেরেন। সাব্বির রহমানের থ্রোতে রান আউট হওয়ার আগে ৮ রান করেন তিনি।

শেহজাদ ফেরার পর কিছুটা ধীরে চলে রংপুরের স্কোর। পরে অবশ্য টমাস অ্যাবেল, লুই গ্রেগরি ও আফগান তারকা মোহাম্মদ নবীর কল্যাণে বড় সংগ্রহ পায় দলটি। ২৫ বলে দুটি চারে ২৫ রান করেন অ্যাবেল। ওদিকে রংপুরের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ২০ বলে তিনটি চারে ২৬ রান করে আউট হন। তবে ১২ বলে ২১ রান করে বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গ্রেগরি; তবে সেটা হতে দেননি আল-আমিন হোসেন।

মুজিব-উর-রহমান চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম, সৌম্য সরকার ও আল-আমিন হোসেন।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় গতকাল ভানুকা রাজাপাকসা ও সৌম্য সরকার ৬ ওভারেই কুমিল্লাকে এনে দেন ৬১ রানের দুর্দান্ত শুরু। এরপর রাজাপাকসে ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন সৌম্য। এ বাঁহাতি সাব্বিরকে নিয়ে দলের রান ১১.১ ওভারে ৯০-এর ঘরে পৌঁছে ফেরেন। তার আগে তিনি করেন ৩৪ বলে ৫ চার ও এক ছয়ে ৪১ রান।

দলের প্রয়োজনে গতকাল জ্বলে ওঠেন সাব্বির। এক প্রান্ত আগলে এ ডানহাতি খেলেন ৪০ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। বলতে গেলে তার ব্যাটে ভর করে কুমিল্লা জয়ের ক্ষণ গণনা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই আশা পূরণ করেন মালান অপরাজিত ২৪ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৪২ রান করে। ইংল্যান্ডের এ অলরাউন্ডারই হয়েছেন ম্যাচসেরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রংপুর রেঞ্জার্স:  ২০ ওভারে ১৮১/৮ (শেহজাদ ৬১, নাঈম ৮, অ্যাবেল ২৫, আল আমিন ১, নবী ২৬, গ্রেগোরি  ২১, নাদিফ ১৫, জহুরুল ০, সানি ১৫*, মোস্তাফিজ ১* ; মুজিব ৪-০-২৫-২, আবু হায়দার ৪-০-৩৯-০, সানজামুল ৪-০-৩৮-১, আল আমিন ৪-০-৪৫-১, শানাকা ২-০-১৬-০, সৌম্য ২-০-১৬-১)।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৯.৪ ওভারে ১৮২/৪ (রাজাপাকসা ৩২, সৌম্য ৪১, সাব্বির ৪৯, মালান ৪২*, শানাকা ১২, ইয়াসির ০; আল আমিন ১-০-১৭-০, নবী ৪-০-২৫-০, মুকিদুল ৪-০-২৬-১, গ্রেগোরি ৪-০-৫৫-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৩৫-১, অ্যাবেল ২.৪-০-২১-১)।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০