শেয়ার বিজ ডেস্ক: কানাডার প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রদেশ নোভা স্কশিয়ায় গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত শুক্রবারের এই বৃষ্টিতে প্রদেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে দেখা দেয় বন্যা। এতে অনেক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি চারজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। খবর: রয়টার্স।
বন্যার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিকে ‘অকল্পনীয়’ বলছে দেশটির প্রশাসন। শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে পরের ২৪ ঘণ্টায় প্রদেশটির কিছু জায়গায় ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ পরিমাণ বৃষ্টি সাধারণত ৩ মাসে হয়ে থাকে। এই অতি বৃষ্টিপাতে বন্যার সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে নদীর ওপরে থাকা বেশ কয়েকটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত ও বাড়িঘরের সামনে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া একটি গাড়িতে থাকা দুই শিশুর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ওই গাড়িতে থাকা বাকি তিন আরোহী নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। অপর একটি গাড়ি ডুবে যাওয়ার কারণে আরও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। তবে ওই গাড়ির বাকি দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
নোভা স্কশিয়া সরকারের প্রধান টিম হিউস্টন বলেন, আমরা খুবই ভয়াবহ এবং কঠিন পরিস্থিতিতে আছি। অন্তত সাতটি সেতু মেরামত বা নতুন করে তৈরি করতে হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বাড়ি ও সম্পতির যে ক্ষতি হয়েছে তা অকল্পনীয়। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, নোভা স্কশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত। এছাড়া কেন্দ্র
থেকে সেখানে পর্যাপ্ত সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কানাডায় প্রতি বছরের মতো এবারও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ দাবানল। এর মধ্যে নোভা স্কশিয়ায় দেখা দিয়েছে বন্যা। প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর হ্যালিফ্যাক্স এবং আরও চারটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। হ্যালিফ্যাক্সের কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং গাড়ি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, অনেক গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং উদ্ধারকর্মীরা নৌকায় চড়ে গাড়িগুলো থেকে মানুষদের উদ্ধার করছেন।
বর্তমানে হ্যালিফ্যাক্সের ৮০ হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কানাডার পরিবেশ বিভাগ এই বন্যা আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা করছে। হ্যালিফ্যাক্সের মেয়র মাই স্যাভেজ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। ১৯৭১ সালের পর এবারই বড় ধরনের বন্যা দেখছে শহরটি।
