শেয়ার বিজ ডেস্ক : গতকাল থেকে চলছে ঈদের ছুটি। এ কারণে রাজধানীর ভেতরে চলাচলকারী গণপরিবহনের সংখ্যা অনেকটাই কম। তবে বুধবার (২৮ জুন) সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে রাজধানী বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলজট। জলজট এবং গণপরিবহন কম থাকায় গন্তব্যে যেতে বাড়তি ভাড়া চাচ্ছেন রিকশাচালক ও সিএনজিচালকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী এবং ঢাকা ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়া যাত্রীরা।
এছাড়া, বৃষ্টির কারণে কোরবানির জন্য কেনা গবাদিপশু নিয়ে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। কেউ বৃষ্টি এড়িয়ে রাস্তার আশপাশে শুকনো জায়গায় পশুসহ ঠাঁই নিয়েছেন। পশুর হাটেও জমেছে বৃষ্টির পানি। অনেক হাটে পর্যাপ্ত শামিয়ানা না থাকায় ভিজছে গবাদিপশু।
ঈদুল আজহার ছুটির দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। এছাড়া বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বাসের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা।অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে একাকার।
রাজধানীর বনশ্রী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন জায়গায় সড়কে আটকে আছে বৃষ্টির পানি। ঈদের আগের দিন যারা কেনাকাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তারা সকাল থেকেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েন। তবে দুপুরের পর বৃষ্টি কিছুটা কমলে তারা কেউ গরুর হাটে, আবার কেউ শপিং মলের দিকে ছুটছেন।
রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা রেজাউল বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বাসা থেকে বের হতে পারিনি। যদিও বৃষ্টি হওয়ায় গরম কমেছে।’ তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের দিন বেশ কিছু কেনাকাটা করতে হবে। শিশুর জন্য কেনাকাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি পাবো না।’
রাজধানীর গাবতলীর বাসিন্দা বাহাউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের বাসা থেকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ৪০ টাকা। বৃষ্টির অজুহাতে ৮০ টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে। এখন বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রাফিক বিভাগের দারুস সালাম জোনের সার্জেন্ট আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গাবতলী দিয়ে গাড়ি প্রবেশ এবং বের হওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। তবে গরুর হাট ও বৃষ্টির কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমরা সব দিক মাথায় রেখেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।’