নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল শুক্রবার ভারি বর্ষণে রাজধানীর অলিগলির পাশাপাশি প্রধান সড়কেও জমেছে পানি। আর নালা পরিষ্কার না থাকায় বৃষ্টি থেমে গেলেও অনেক সময় ধরে সড়কে পানি জমে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী। আবার পানি জমে যাওয়ায় কোনো কোনো সড়কে তৈরি হয় যানজট।
গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। হঠাৎ ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্বে থাকা খোদ ‘ঢাকা ওয়াসা’-ই পানিবন্দি হয়ে পড়ে। সরকারি এ সংস্থাটির সামনে ছিল থৈ থৈ পানি। যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ীদের সবজি পানিতে ভেসে গিয়ে বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫০ নং ওয়ার্ড কমিশনার (যাত্রাবাড়ী) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, পাঁচ দিন ধরে বিভিন্ন এলাকার ময়লা পরিষ্কারের কাজ চলছে। এ কারণে বাজারে কিছুটা পানি জমেছে। তবে ময়লা পরিষ্কারের কাজ শেষ হলে আর সমস্যা থাকবে না।
সরেজমিন দেখা যায়, শান্তিনগর চামেলীবাগেও হাঁটুপানি। জলাবদ্ধতার কারণে এক ধরনের গৃহবন্দি হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। জরুরি কোনো কাজ ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। চামেলীবাগের সাজ্জাদ হোসেন জানান, বাসার সামনে হাঁটুপানি। মনে হয় ওয়াসার ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।
অন্যদিকে খিলগাঁও থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত ফুটপাতের উপরেও পানি জমেছিল। এ জন্য পথচারীরা ঝুঁকি না নিয়ে ফুটপাতের পরিবর্তে প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। এখানে অনেক সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এক অটোরিকশা চালক আমানুল্লাহ জানান, গাড়িতে পানি ঢুকেছে। চারিদিকে শুধু পানি, চলাচল করা মুশকিল।
রাজধানীর মিরপুর এলাকায়ও পানি থই থই করছিল। এ এলাকার মিরপুর-১০, ভাষানটেক, কালশী, মিরপুর-১২, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়ায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে মিরপুর-১ নম্বর থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম হয়ে উত্তরা ও বনশ্রী রুটে চলাচল করে।
বর্ষণের ফলে সিদ্বেশ্বরী, নয়াপল্টন, মতিঝিল, আরামবাগ, গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায়ও পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
