শোবিজ ডেস্ক: যথাযথ প্রমাণের অভাবে বেআইনি অস্ত্র মামলা থেকে রেহাই পেলেন সালমান খান। গতকাল বুধবার জোধপুরের একটি আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন।
১৯৯৮ সালে ‘কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে’র ঘটনার সময় সালমানের কাছে লাইসেন্সবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র আদৌ ছিল কি না, তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে কারণে সালমান খানকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত হওয়ার পর থেকেই বেশ আলোচনা হচ্ছিল চাঞ্চল্যকর মামলাটি নিয়ে। এ মামলার রায় নিয়ে বলিউডে চলছিল উš§াদনা। এতকিছুর মধ্যে মামলার রায় শুনতে সাতসকালে সালমান খান রাজস্থানের জোধপুরের ওই আদালতে হাজির হন। ৫১ বছর বয়সী এ অভিনেতা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বোন অ্যালভিরাকে। তাকে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছিল আদালত প্রাঙ্গণে। এর কিছুক্ষণ পরই জানা যায় বেআইনি অস্ত্র মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন সালমান।
আদালতে সালমানের আইনজীবীদের দাবি, শিকারের সময় সালমান কোনো আগ্নেয়াস্ত্র বহন করেননি; বরং ওটা ছিল এয়ারগান। তাছাড়া তিনি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে শিকার করেছেন এরকম কোনো প্রমাণও মেলেনি। সালমানের পরিবার দাবি করে আসছিল বনরক্ষীরাই তাকে ফাঁসানোর জন্য এমন অভিযোগ করেছে।
ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৮ সালে। সে সময় ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ মুভির শুটিংয়ে রাজস্থানে অবস্থান করছিলেন এ বলিউড সুপারস্টার। শুটিংয়ের ফাঁকে জোধপুরের জঙ্গলে শিকারে গিয়েছিলেন তিনি। বিপত্তিটা ঘটে ওখানেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুটি চিঙ্কারা ও দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছেন। শুটিংয়ে তার সঙ্গে ছিলেন সাইফ আলী খান, টাবু, নীলমসহ ওই সিনেমার বেশ কয়েকজন শিল্পী।
ঘটনার কিছুদিন পার হতে না হতেই মামলা হয় সালমানের নামে। কৃষ্ণমৃগ হত্যা মামলা থেকে মুক্তি মিললেও লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র রাখার অপরাধে দোষী ছিলেন তিনি। বিষয়টি হচ্ছে, সালমান যে অস্ত্র দিয়ে শিকার করেছিলেন, সে পিস্তল ও রাইফেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই, যা পুনরায় লাইসেন্স করানো হয়নি। এ কারণে অস্ত্র আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছিল, তারই রায় ঘোষণা হলো গতকাল জোধপুরের আদালতে।
মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার পরই টুইট করে
সুখবরটি ভক্তদের জানিয়ে দেন বলিউড সুপারস্টার। একই সঙ্গে তাকে সমর্থনের জন্য ভক্তদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।
Add Comment