প্রতিনিধি, নোয়াখালী: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার বাজারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে গতকাল রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গতকাল বেলা ২টায় চৌমুহনী পূর্ব বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এর আগে শনিবার রাতে বিক্ষোভ মিছিলের সময় পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন আলমের নেতৃত্বে পূর্ব বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পূর্ব বাজার হয়ে গোলাবাড়ি এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে স্থানীয় মাইশা টাওয়ারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে মহসিন আলম বক্তৃতা করেন।
জানতে চাইলে চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সাবজেল হোসেন বলেন, বিএনপির কর্মীরা কখন মিছিল করেছেন, তা তারা জানেন না। কারণ মূল সড়কে সারাক্ষণ পুলিশ টহলে রয়েছে। মিছিল করলেও হয়তো ভেতরের কোনো সড়কে দু-তিন মিনিটের জন্য করতে পারেন।
শনিবার বিকালে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার বাজারে হামলার শিকার হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ। হামলার পর আহত বরকত উল্লাহ অভিযোগ করেন, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা কোনো কারণ ছাড়াই অতর্কিত ওই হামলা চালিয়েছেন। হামলা থেকে রেহাই পাননি সঙ্গে থাকা তার সহধর্মিণী ও দলীয় আরও দুই নেতা। পরে আহত বরকত উল্লাহসহ অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার রাত ৯টায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিল বিএনপি। মিছিলটি চৌমুহনী গণমিলনায়তনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বড় পোল এলাকায় গেলে পেছন থেকে ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং দলীয় পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে।
এদিকে বিএনপির নেতা বরকত উল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিকাল ৪টায় নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী, সেনবাগ, চাটখিল ও কবিরহাট উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক।