‘বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট’ প্রতিরোধে সতর্ক হতে হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতে অত্যন্ত মারাত্মকভাবে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। যেখানে বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট চলে এসেছে। এই ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত মারাত্মক। চারদিকে সংক্রমণ করার ক্ষেত্রে এটি ৩০০ গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। ফলে এটি প্রতিরোধে এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নি¤œমুখী হার। তবে মৃত্যুহার এখনও এক দশমিক ৪৮ শতাংশ। ফলে এই অবস্থার আরও উন্নতির জন্য সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ভারতে অসম্ভব রকমের করোনার সংক্রমণ ঘটছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ভারতে যে দুটো ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছেÑডাবল বা ত্রিপল মিউটেশন ভাইরাস, তা সারাবিশ্বে বিস্ময় হিসেবে দেখা দিয়েছে। ভারতের এ ডাবল কিংবা ত্রিপল মিউটেশন ভাইরাস যেন কোনোভাবে দেশে আসতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আমরা যদি ডাবল বা ট্রিপল মিউটেশনের মধ্যে পড়ে যাই, তাহলে আমাদের অবস্থা কী পরিমাণ ভয়ংকর হবে, সেটা চিন্তা করার জন্যও সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানান তিনি।

রোবেদ আমিন বলেন, আমাদের অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে হবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে কিন্তু আমাদের চিত্র আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের মতো হয়ে যেতে পারে।

বুলেটিনে তিনি বলেন, কোনো মানুষকে কোয়ারেন্টাইন করতে হলে সেটা হতে হবে ১৪ দিন। ১৪ দিনের নিচে কোয়ারেন্টাইন সম্ভব নয়। কিন্তু শুধু কোয়ারেন্টাইন পালন করানোর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একমাত্র অধিদপ্তর নয়, এখানে আরও অনেক অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যদি আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে বিষয়টিকে দেখতে চাই, তাহলে আমাদের উচিত হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন যেন নিশ্চিত হয়। আর এটা যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে হয়, তাহলে সবচেয়ে ভালো। সেটা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম কোয়ারেন্টাইন যেন সবাই কঠোরভাবে পালন করে, সে বিষয়ে সবাইকে আহ্বান করা হচ্ছে।

আমরা এখন কভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পার করছি বলে জানিয়ে রোবেদ আমিন বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলছে। কিন্তু আজ সীমিত পরিসরে শপিং মল ও দোকানপাট খুলে দেয়া হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী লকডাউন কোনো পরিপূর্ণ সমাধান নয়। একইসঙ্গে এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই জনগণকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানানোর দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের কঠোর হয়ে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর প্রয়োজন হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ১৭২ জন। এর মধ্যে মারা গেছে এক লাখ ৯২ হাজার ৩১১ জন। তবে এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে এক কোটি ৪০ লাখ ৮৫ হাজার ১১০ জন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০