নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন বছরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাজারে প্রচুর মুরগির চাহিদা। কিন্তু চাহিদার তুলনায় আমদানি কম থাকায় বেড়েছে মুরগির দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিরভাগ শীতকালীন সবজির দাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পলাশি, আগারগাঁও, নবাবগঞ্জ বাজার এবং হাতিরপুল ঘুরে বাজার দরের এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। পাশাপাশি ১০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল কেজি প্রতি ২৮০ টাকা। ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা, গত সপ্তাহে যা ছিল ২৪০ টাকা কেজি দরে।
আজ নতুন বছর উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। বাজারে অনেক মুরগির চাহিদা। কিন্তু আমদানি কম। তাছাড়া যা পাওয়া যাচ্ছে সবই বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। তাই পাইকারি বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে এখনও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। যদিও সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শীতের ভরা মৌসুম হলেও কমছে না সবজির বাজার। এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রয়েছে অনেক সবজি।
এসব বাজারে গাজর প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া চাল কুমড়ো পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়, বরবটি ৭০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০, (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৫০ টাকা, বড় ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৩০ টাকা এবং কাঁচকলার হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহের মতোই টমেটো কেজিপ্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাজারে শাল গমের (ওল কপি) কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে আলুর দাম। প্রতি কেজি পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। সেই সঙ্গে দাম কমেছে নতুন আলুর। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০
থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামেও পরিবর্তন আসেনি।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারগুলোতে ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা কেজি দরে।