নিজস্ব প্রতিবেদক: অবস্থা ক্রমেই নাজুক হচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ‘তুং-হাই নিটিং অ্যান্ড ডায়িং’-এর। ইতোমধ্যে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটির। পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা নেই দীর্ঘদিন ধরেই। বকেয়া রয়েছে কোম্পানির কর্মকর্তাকর্মচারীদের বেতন-ভাতা। এ অবস্থায় বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া এবং পাওনা আদায়ের দাবিতে গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিজিএমইএ ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে তুংহাই নিটিংয়ের শ্রমিক-কর্মচারীরা।
জানা গেছে, গত এপ্রিল থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৪০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে বেতন-ভাতা ঈদ বোনাসের দাবিতে তারা বিজেএমই ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তারা চান প্রতিষ্ঠানটি আবারও চালু হোক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, বস্ত্র খাতের এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে লোকসান শুরু হয় কোম্পানিটির। ফলে পরপর দুই বছর ১০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি এ ক্যাটাগরি টিকিয়ে রাখে। এরপর লোকসানের বোঝা ভারি হওয়ায় জেড ক্যাটাগরিতে চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। পরের বছর সামান্য মুনাফা হলে আবারও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ ক্যাটাগরিতে ফিরে আসে।
এদিকে কোম্পানির অবস্থা ভালো না থাকায এ কোম্পানির শেয়ারের চাহিদাও ব্যাপকভাবে কমে যায়। ফলে শেয়ার চলে যায় অভিহিত দরের নিচে। গত এক বছরের লেনদেন চিত্রে দেখা যায় এ শেয়ার সর্বনি¤œ ৯ টাকা চল্লিশ পয়সায় লেনদেন হয়। একইভাবে এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয় এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।
বর্তমানে প্রতিনিয়তই এ শেয়ারের দর কমছে। গতকালও প্রতি শেয়ারে ২০ পয়সা দরে কমে দিন শেষে ১৫ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। দর ওঠানামা করে ১৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে। বস্ত্র খাতের এ প্রতিষ্ঠানের মোট শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৫.৯৭ শতাংশ শেয়ার। এ ছাড়া ৩০.০৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কোম্পানি পরিচালকদের কাছে। বাকি ১৩.৯৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।