নিজস্ব প্রতিবেদক: বেনাপোল কাস্টম হাউসে স্থাপিত মোবাইল কন্টেইনার স্ক্যানার চালু করা হয়েছে। করোনাকালে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অত্যাধুনিক এই স্ক্যানার চালু করা হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণা ও অবৈধ পণ্য আমদানি প্রতিরোধ, সময় বাঁচিয়ে রাজস্ব বাড়াতে এই স্ক্যানার সহযোগিতা করবে। প্রাথমিকভাবে এই স্ক্যানার দিয়ে বন্ড সুবিধার পণ্যের কন্টেইনার স্ক্যান করা হবে। এছাড়া কোন কন্টেইনারে আমদানি করা পণ্যে রাজস্ব ঝুঁকি ও রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে-এমন সন্দেহ হলে তা স্ক্যান করা হবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রমতে, চীন সরকারের অনুদানে চট্টগ্রাম, মোংলা, বেনাপোল ও আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউসের জন্য চারটি মোবাইল কন্টেইনার স্ক্যানার কেনা হয়। ২০১৮ সালে এসব স্ক্যানার স্থাপন করা হয়। এ ধরনের স্ক্যানারে জৈব, অজৈব, ধাতব, প্লাস্টিক, বিভিন্ন পণ্যের রঙের স্ক্যান ইমেজ (ছবি) পাওয়া যাবে। তাই স্ক্যান করা কনটেইনারের পণ্যের পার্থক্য নিরূপণ ও সঠিকতা যাচাই সহজ ও দ্রুততর হবে। বেনাপোল কাস্টম হাউসে স্ক্যানার স্থাপনের পর থেকে ট্রায়াল বেসিসে এটি পরিচালনা করা হচ্ছে। করোনার সময় কিছুদিন এটি বন্ধ ছিলো। ২৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় এটি চালু করা হয়। স্ক্যানারটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েট নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, ‘চীন সরকারের আর্থিক অনুদানে একটি মোবাইল কন্টেইনার স্ক্যানার বেনাপোল কাস্টম হাউসে স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপনের পর থেকে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রি মেইনটেন্যান্স সেবার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যথাযথ শুল্ক নিরূপণ ও রাজস্ব আহরণে স্ক্যানারটি ভূমিকা পালন করছে। সঠিক শুল্ক-করাদি নিরূপনে সহায়তা ছাড়াও দ্রুত পণ্য চালান খালাস ও অংশীজনদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস হ্রাসেও স্ক্যানারটি ভূমিকা রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েট এর সঙ্গে বেনাপোল কাস্টম হাউসের চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েট আগামী দুই বছর এই স্ক্যানার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে।’
###