যশোর প্রতিনিধি: পেট্রাপোল বন্দর ব্যবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে একদিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আবার আমদানি শুরু হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুস সামাদ জানান, রোববার বেলা ১২টা থেকে পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলে আমদানি পণ্যের ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ শুরু করে।
আমদানি-রফতানি কার্যক্রম নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল শুল্ক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে শনিবার বিকাল থেকে বন্দরে রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ করে দেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। ফলে মেশিনারি, গার্মেন্ট সামগ্রীর কাঁচামাল, মাছ, পানসহ বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য বোঝাই পাঁচ শতাধিক ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়ে।
আবদুস সামাদ বলেন, শনিবার বিকালে কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে পণ্যবোঝাই ট্রাক পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হলেও এপার থেকে রফতানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল। এ নিয়ে পেট্রাপোল কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর বেনাপোল বন্দরে পণ্য পাঠানো শুরু হয়।
ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী
বলেন, নতুন (আইসিপি) চেকপোস্ট চালুর পরও শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোনো কাস্টম ভবন হয়ে আসছিল। পুরোনো পার্কিং থেকে রফতানি কাজকর্মও চলতো।
শনিবার সকাল থেকে শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা নতুন ভবনে কাজ
শুরু করেন জানিয়ে তিনি বলেন, পুরোনো পার্কিং থেকে নতুন
পার্কিংয়ের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। আর রফতানির স্থান থেকে
শুল্ক ভবনের দূরত্ব আরও বেশি হওয়ায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
শুল্ক কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ফলে বন্দর ব্যবহারকারীরা আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেন বলে জানান তিনি।
কার্তিক বলেন, শুল্ক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। দুপুরে পুরোনো কাস্টম ভবনে আবার
শুল্কায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুরোনো পার্কিং থেকেও রফতানি কাজকর্ম চলবে।
শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি হয়। ভারতের সঙ্গে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রফতানি ও সকাল ১০টা থেকে আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়; চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
Add Comment