প্রতিনিধি, রংপুর: বেশি দামে তেল-ডাল-চিনি বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘অনেক অসৎ ব্যবসায়ী সুযোগ পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। তাই এখন থেকে ট্যারিফ কমিশন নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুরে ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনে নেয়া প্রকল্পের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনির দাম অনেক বেড়েছে। ৬০০ টাকা টনের ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে এক হাজার ৩০০ ডলারে উঠেছে। একইভাবে ডাল ও চিনির দাম বেড়েছে। আমাদের ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রতি বছর ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ১০ শতাংশ তেল দেশে উৎপাদিত সরষে থেকে আসে।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছি। এসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানির পর ট্যারিফ কমিশন বসে দাম নির্ধারণ করে দেয়। তারপরও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় দাম বাড়িয়ে দেন। এজন্য জেলায় জেলায় দাম মনিটরিংয়ের জন্য ডিসিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।’
টিপু মুনশি জানান, ‘ভারত, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এবার পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা
বলছেন, তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। প্রতিকেজি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ পড়ে ১৪ টাকা, আর বিক্রি করা হচ্ছে ১৬ থেকে ১৮ টাকায়। সে কারণে বিদেশ থেকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি করতে নিষেধ করেছেন কৃষকরা।’
রংপুরে একটি বিশ্বমানের ক্যানসার হাসপাতাল করার উদ্যোগে নিয়েছেন বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ২০ কোটি টাকা দেব। কিন্তু শুধু টাকা দিলেই হবে না, এটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সব স্তরের মানুষ যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে ক্যানসারের চিকিৎসা পান, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ক্লাব উত্তরার জুলহাস আলম, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান ও রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের ডিসি (অপরাধ) মারুফুল ইসলাম প্রমুখ।