নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মজুদ করে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগে একজন ডিলারের দোকান সিলগালা করে ওই ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া শ্যামবাজারে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে যাত্রাবাড়ীতে আবুল খায়ের ট্রেডার্স নামের তেলের ডিলারের দোকানটি সিল করা হয়। এ সময় সেখানে পাওয়া ৬০ ব্যারেল তেলও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, ‘যাত্রাবাড়ীতে বেশি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করছে এ রকম খবর পেয়ে আবুল খায়ের ট্রেডার্স নামে একটি ডিলারের দোকানে অভিযান পরিচালনা করি। আমরা গিয়ে দেখতে পাই সরকারের বেঁধে দেয়া লিটারপ্রতি ১৪৩ টাকার তেল ওই ব্যবসায়ী বিক্রি করছেন ১৭৩ টাকা করে।
সেখানে অভিযান চালিয়ে ৬০ ড্রাম (ব্যারেল) খোলা সয়াবিন তেল মজুদ পাওয়া যায়Ñজানিয়ে তিনি বলেন, তখন ওই তেল জব্দ এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এসব পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিল থেকে এসও (বিক্রয় রসিদ) নেন। ওই রসিদগুলো হাতবদল করে দাম বৃদ্ধি করেন।
‘তবে আবুল খায়ের ট্রেডার্সের মালিকের দাবি, তিনি মৌলভীবাজারের এক আমদানিকারকের কাছ থেকে বেশি দামে তেল কিনেছেন।’ এটা যাচাইয়ের জন্য রোববার অধিদপ্তরের একটি দল মৌলভীবাজারে যাবে বলে জানান তিনি।
এ সময় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা মূলত অভিযানে বের হয়েছিলাম রাজধানীর শ্যামবাজারের পেঁয়াজের বাজারে অভিযান পরিচালনা করতে। সেখানে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।’ নিত্যপণ্য স্থিতিশীল রাখতে এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।
অভিযানকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজধানীর দুটি এলাকায় অভিযানে গেলে খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বিক্রেতারা তাদের কাছ থেকে তেলের দাম বেশি রাখছেন। এতে খুচরায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা সঠিক তথ্য নেয়ার জন্য দুজন কর্মকর্তাকে পাইকারি বিক্রেতা আবুল খায়ের ট্রেডার্স নামে ওই প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছিলাম। তাদের কাছে প্রথমে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৭৬ টাকা চান। দরকষাকষির এক পর্যায়ে এ ডিলার ১৭৩ টাকায় দিতে রাজি হন।’
