Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:41 am

বেশি লেনদেনেও ভ্রমণ-আইটি খাতে পতন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে নামমাত্র সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল রোববারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কমে সাড়ে ৮০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল।

গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল সিমেন্ট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। অপরদিকে লেনদেন বেশি হলেও এদিন শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ এবং আইটি খাতে। এর মধ্যে ভ্রমণ খাত ডিএসইর লেনদেনের চতুর্থ এবং আইটি খাত লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে ছিল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সিমেন্ট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে, দর কমেছে ২টির এবং ১টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর কমেছে। শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় ছিল ব্যাংক খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, সাধারণ বিমা, খাদ্য এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। এরপর রয়েছে আইটি খাতের শেয়ার। খাতটিতে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। ১ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ভ্রমণ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৮৪৬ কোটি ২১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৮৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ১৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬১টি এবং কমেছে ৭৬টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২১০টির।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন ১১ কোটি ৯৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৭টি, কমেছে ৫১টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৮৯টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক ২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৭ দশমিক ১৪ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ২ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২১ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৫০০ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬৯ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স দশমিক ৭৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৯ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্টে।