Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 7:05 pm

বেসরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ব্যাংকিং খাতে নন-পারফরমিং লোন দ্রুত বাড়ছে। জুন ২০১৬ অনুযায়ী নন-পারফরমিং লোনের পরিমাণ ৬৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ বছর এর পরিমাণ আরও বেড়েছে, যা বিনিয়োগের জন্য ক্ষতিকারক। এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণের পরিমাণ ১৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করতে হবে। এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহ্মাদ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফেডারেশন ভবনে মুদ্রানীতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মুদ্রানীতিতে মাত্রাতিরিক্ত স্ফীতি এড়িয়ে চলার নীতি নেওয়া হয়েছে। এরপরও এতে কিছু সমস্যা রয়েছে। তা মোকাবিলায় জিডিপির ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সুদহার বড় ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশের নিচে নামলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) শিল্পের ক্ষেত্রে সুদহার এখনও দুই সংখ্যায় রয়েছে। সব ক্ষেত্রে সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি। কালোটাকা ও অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্ত উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, সদ্যঘোষিত মুদ্রানীতি, বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি, পাটপণ্যে ভারত কর্তৃক অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ ও নতুন মূসক আইন সংক্রান্ত বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এফবিসিসিআই। এ সময় সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

পাটপণ্যে ভারত আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি প্রসঙ্গে আবদুল মাতলুব আহ্মাদ বলেন, এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় পর্যায়ে রিভিউর মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধানের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের শতভাগ বন্ধু দেশ। আমাদের শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। তবে তাদেরও দেশি শিল্প রয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ীদেরও আরেকটু কষ্ট করতে হবে। তাদের ভারতীয় নিয়ম-বিধি জানতে হবে।

নতুন ভ্যাট আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ভ্যাট দিতে চাই। ধাপে ধাপে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিলে অনেক বেশি হয়ে যায়। আমি মনে করি, সাত শতাংশ ভ্যাট দেওয়া যেতে পারে। আমরা ভ্যাটের নামে হয়রানি চাই না। এজন্য ভ্যাট অনলাইন চালুর জন্য আমরা আগ্রহী।’

এ প্রসঙ্গে প্রথম সহ-সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ভ্যাট আদায় করতে হলে ব্যবসায়ীদের আস্থায় নিতে হবে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা ও আংকটাডের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাট আইন চলবে না, এটা স্থানীয় ব্যবসার অবস্থা অনুযায়ী চলতে হবে। ১৯৯১ সালে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় দিয়ে শুরু হয়েছিল। গত বাজেটে সেই পরিমাণ ৭৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা ভ্যাট আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলতে চাই। এ নিয়ে ১০টি সভা হয়েছে। কিন্তু এনবিআর প্রতিনিধিরা কোনো ফল জানাচ্ছেন না। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসতে চাই।