নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি একেবারে তলানিতে নেমে এসেছিল। আশানুরূপ বিনিয়োগ না হওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণ চাহিদা এখন কম। সরকারের প্রণোদনার আওতায় প্রচুর ঋণ বিতরণ ও ঋণ আদায় কমার পরও গত জুলাইয়ে বেসরকারি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র আট দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের মাস জুনে যা আট দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল। এর আগে গত মে মাসে প্রবৃদ্ধি ছিল সাত দশমিক ৫৫ শতাংশ।
গত কয়েক মাস ধরে আট শতাংশের কাছাকাছি ঘুরছিল ঋণের প্রবৃদ্ধি। মহামারির কারণে ব্যবসায় নতুন বিনিয়োগের বিষয়ে খুব সতর্ক ছিলেন ব্যবসায়ীরা। ঋণের প্রবৃদ্ধির এ পরিমাণ চলতি অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬.৪২ শতাংশ কম। ২০২১-২২ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৮ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে বলা হয়, আগামী মাসগুলোতে ঋণের চাহিদা বাড়বে। কারণ মহামারি নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে শিগগির অর্থনীতি আবার সচল হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে ও আগামী মাসগুলোয় যখন বেশ কয়েকটি প্রণোদনা প্যাকেজের দ্বিতীয় ধাপ বিতরণ করা হবে, তখন তা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
যদিও কভিডের তৃতীয় ঢেউ যদি দেশে আঘাত হানে, তবে তা সামনের মাসগুলো অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। কভিডের কারণে দুরবস্থা কাটিয়ে অর্থনীতি আবার সচল হওয়ায় ব্যাংক খাতের অতিরিক্ত তারল্য কিছুটা কমেছে। জুলাইয়ে অতিরিক্ত তরল্য দাঁড়িয়েছে দুই লাখ তিন হাজার কোটি টাকা, যা আগের মাসে ছিল দুই লাখ ৩২ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। জুনে উদ্বৃত্ত তহবিলের পরিমাণ ছিল এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস সবকিছু স্থবির করে দেয়ায় গত অর্থবছরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পায়। গত বছর জুলাইয়ে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ এবং কভিডের কারণে ঋণের চাহিদ কমে যাওয়ায় চলতি বছরের মে মাসে তা নেমে আসে সাত দশমিক ৫৫ শতাংশে।