নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা-সংক্রান্ত সব পরীক্ষা ও সেবার মূল্য তালিকা উম্মুক্তভাবে প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদেশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আদেশ পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ১৯৮২ সালের দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, একটি নীতিমালা তৈরি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতেও বলেছেন আদালত।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম আদালতে এই রিট আবেদনটি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।
সব হাসপাতাল এবং ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স অনুমোদন, তাদের সেবার বিষয় তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স অনুসারে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সব জেলা সদরের হাসপাতালে ইনটেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিট (আইসিউ), করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) স্থাপনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে নাÑতা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র্যাব মহাপরিচালককে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের পর রিটকারীপক্ষের আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ছাড়াও চিকিৎসা-সংক্রান্ত নানা উপকরণ ব্যবহারে অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদের যেমন লঙ্ঘন হচ্ছে, তেমনি জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এজন্যই আদালত আমাদের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে কিছু জরুরি নির্দেশনা ও রুল দিয়েছেন।
আগামী ৭ অক্টোবর বিষয়টি আবার আদালতে উঠবে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।