শেয়ার বিজ ডেস্ক : আগামী সপ্তাহে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের বৈঠক হবে। সেখানে উত্তোলন হ্রাস চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়াতে সদস্য দেশগুলো একমত হবে, এমন গুঞ্জনে পণ্যটির বাজারে প্রভাব পড়েছে। ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকা তেলের দাম গতকাল মঙ্গলবার আরও বেড়েছে।
নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে গতকাল ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে দুই সেন্ট। সবশেষ লেনদেনে এ বাজারে পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি বিক্রি হয় ৫৬ ডলার ৭৩ সেন্টে। অন্যদিকে লন্ডন ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে ব্যারেলেপ্রতি দাম বেড়েছে ৪৭ সেন্ট। এদিন বাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেল বিক্রি হয়েছে ৬২ ডলার ৬৯ সেন্টে।
ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান জাঙ্গানেহে গত সোমবার জানান, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন হ্রাস চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়াতে সম্মত হয়েছে ওপেকের বেশিরভাগ সদস্য দেশ। তবে এ বিষয়ে আগামী ৩০ নভেম্বরের ওপেকের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
২০১৪ সালের শেষ সময় থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতন শুরু হয়। ক্রমাগত দরপতন ঠেকাতে ওপেকভুক্ত দেশগুলো পণ্যটির সম্মিলিত উত্তোলন কমিয়ে আনতে চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, স্বাক্ষরকারী দেশগুলো অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সম্মিলিত দৈনিক উৎপাদন চলতি বছরের শুরুর পর্যায় থেকে ১৮ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মজুদ পাঁচ বছরের গড়ের সমপর্যায়ে আসবে বলেও আশা করা হয়। রাশিয়াসহ ওপেকবহির্ভূত ১০টি দেশ এ চুক্তি মেনে পণ্যটির উত্তোলন কমাতে রাজি হয়।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তির শর্ত বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে এর মেয়াদ আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ইরাকের আগে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের শীর্ষ উত্তোলনকারী ও রফতানিকারক সৌদি আরব, রাশিয়া ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলা এ চুক্তির মেয়াদ নতুন করে বাড়ানোর বিষয়ে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন বিজান।