নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ২০২১ সালের ব্যবসায় প্রান্তিকগুলোর আর্থিক হিসাবে অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএসইসি এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে রয়েছেনÑ উপপরিচালক কাজী মো. আল-ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. কাউসার আলী ও মো. আতিকুর রহমান।
কমিটিকে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির ৯ মাসের অনিরীক্ষিত ও ১২ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাবের মধ্যে কোনো জাগলারি হয়েছে কি না, ইনসাইডার ট্রেডিং রয়েছে কি না, ওই অস্বাভাবিক আর্থিক হিসাবের কারণে শেয়ারদরে প্রভাব ও মার্কেট ম্যানুপুলেশন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে কমিশন।
বে লিজিং কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২১) শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দেখায় ২ টাকা ৭৫ পয়সা। তবে ১২ মাসে বা ২০২১ সালে মুনাফার পরিবর্তে লোকসান দেখায় ৯৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম ৯ মাসে ২ টাকা ৭৫ পয়সা মুনাফা হয়েছে শেষ ৩ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২১) লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ৭৪ পয়সা।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষের এই অস্বাভাবিক আর্থিক হিসাব পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জš§ দেয় এবং নিন্দার ঝড় তোলে। যার আলোকে কমিশন গতকাল তদন্ত কমিটি গঠন করল।
কোম্পানিটির এমন অস্বাভাবিক আর্থিক হিসাব নিয়ে গত শনিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে যৌথভাবে সিএমজেএফ ও বিএমবিএ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজার: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, একটি কোম্পানির নয় মাসে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৭৫ পয়সা, যা ভালো ব্যবসা ও বিনিয়োগযোগ্য। কিন্তু এক বছরের ব্যবসায় কোম্পানিটি ইপিএস দেখাল ৯৯ পয়সা নেগেটিভ। এখন যেসব বিনিয়োগকারী ৯ মাসে ২ টাকা ৭৫ পয়সা দেখে বিনিয়োগ করল, তাকে কি এখানে দোষ দেয়া যাবে। তিনি (বিনিয়োগকারী) ঠিকই ফান্ডামেন্টাল দেখে বিনিয়োগ করেছিলেন। এ ধরনের অ্যাকাউন্টস যারা প্রকাশ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।