শেয়ার বিজ ডেস্ক: নিজেদের তৈরি প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) ‘এসইউ৭’ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি। বেইজিংয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭’, ‘এসইউ৭ প্রো’ ও ‘এসইউ৭ ম্যাক্স’ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রদর্শনের পাশাপাশি অগ্রিম ফরমাশ নেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর: রয়টার্স ও সিএনএন।
শাওমি জানিয়েছে, ফরমাশ কার্যক্রম শুরুর ২৭ মিনিটের মধ্যেই ৫০ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে। চীনের পঞ্চম বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি শাওমি।
জানা গেছে, সুপার ইলেকট্রিক মোটর প্রযুক্তি বা ই-মোটর হাইপারইঞ্জিন ভি৮এস থাকায় একবার চার্জে সংস্করণভেদে ৭০০ কিলোমিটার থেকে ৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে শাওমির বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো। শুধু তা-ই নয়, সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৭৮ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিও তুলতে পারে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রের অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করায় গাড়িগুলোয় সহজে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেই জুন জানিয়েছেন, স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭ সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম ধরা হয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৯০০ ইউয়ান বা ২৯ হাজার ৮৭২ মার্কিন ডলার। ফলে গাড়িটি টেসলার ‘মডেল ৩’ বৈদ্যুতিক গাড়ির তুলনায় ৩০ হাজার ইউয়ান কমে পাওয়া যাবে। এসইউ৭ প্রো ও এসইউ৭ ম্যাক্স সংস্করণের গাড়িগুলোর দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৯০০ ইউয়ান ও দুই লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ ইউয়ান। বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোকে পোরশের টায়ক্যান ও প্যানামেরা স্পোর্টস কারের সঙ্গে তুলনা করা যায়।
বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্বজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতাদের মধ্যে দাম কমানোর প্রতিযোগিতা চলছে। শাওমির গাড়ির দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেশ চাপে পড়বে বলে ধারণা করছেন বাজার-বিশ্লেষকরা। তবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অটোমোবিলিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিল রুশো বলেন, বাজারে নতুন গাড়ি আনার কৃতিত্ব পেতে পারে শাওমি। তবে ক্রেতারা গাড়ি কেনার পরই কেবল চূড়ান্ত সাফল্য পাবে প্রতিষ্ঠানটি।
স্ট্যান্ডার্ড এসইউ৭ ও এসইউ৭ প্রো সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ি আগামী মাসের শেষ নাগাদ বাজারে পাওয়া যাবে। অন্যদিকে মে মাসের শেষ নাগাদ পাওয়া যাবে এসইউ৭ ম্যাক্স সংস্করণের বৈদ্যুতিক গাড়ি।