নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈধ পথে রেমিট্যান্স দেশে আনতে প্রবাসীদের দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে। গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
কয়েক বছর ধরেই রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকেই রেমিট্যান্স কমে আসছে। ওই অর্থবছরে দেশে বৈধ পথে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। পরের অর্থবছর থেকেই কমতে থাকে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা নেমে দাঁড়ায় এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্স কমার প্রভাব পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। ঘটনার কারণ জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি দল রেমিট্যান্সের বড় উৎসের চারটি দেশ ভ্রমণ করে। পরে তাদের প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে বিকাশসহ হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোয় এমন অবস্থা হয়েছে। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহের পতন ঠেকে। সর্বশেষ গত বছর রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ১৬ লাখ ডলার। চলতি বছরের ১১ মাসে গত মে মাস পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৫০৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ধরে রাখা, আমদানি ব্যয় মেটানো ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে বিদ্যমান রেমিট্যান্সের পরিমাণ চারগুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিতে।
এরই ধারাবাহিকতায় রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে প্রবাসীদের দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। এজন্য বাজেটে তিন হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। নতুন বাজেটে এটি পাস হলে আগামী মাস, অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে দুই টাকা প্রণোদনা পাবেন। প্রবাসীদের পাঠানো ১০০ টাকা বাংলাদেশে থাকা তার স্বজনরা ১০২ টাকা পাবেন।
একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিমা সুবিধার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে দুই শতাংশ প্রণোদনা
