নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশাখের প্রথম দিন বর্ষবরণের সব আয়োজন এবার বেলা ২টার মধ্যে শেষ করতে বলেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। গতকাল রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বথা বলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এবার রোজার মধ্যে পহেলা বৈশাখ হবে। তাই দিনের বেলা কোনো খাবার দোকান খোলা থাকবে না। রোজার মাস চলছে, তাই এবার বেলা ২টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।
রমনা বটমূল ও আশপাশের এলাকায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যারা আসবেন, তাদের ২টার মধ্যে চলে যেতে হবে। বেলা ১টার পর নতুন করে কাউকে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
বৈশাখের অনুষ্ঠান চলাকালে রমনা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হবে। সব প্রবেশ ফটকে তল্লাশি করা হবে। সিসি ক্যামেরায় পুরো এলাকায় নজরদারি থাকবে।
এবার সময় কড়াকড়ি করার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, যারা এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ রোজা থাকেন। রমজান শেষে এই দিনটি পড়লে আবার আগের মতো বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠান নেয়া হবে।
কভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুই বছর পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের আয়োজন তুলে রাখতে হয়েছিল। সংক্রমণ কমে আসায় আসছে আগামীকাল ভোরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে।
মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের জন্য গতিপথ বদলে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে টিএসসি থেকে ভিসির চত্বর পর্যন্ত রাস্তায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের বানানো বৈশাখী মুখোশ হাতে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাজানো বা বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।