শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে খাদ্যের যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা মস্কোর ভুলে নয়। তারপরও শস্য ও সার রপ্তানির মধ্যমে খাদ্যের ঘাটতি দূর করতে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত রাশিয়া। তবে এক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমাদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘিরের সঙ্গে ফোনালাপে এসব কথা বলেন। খবর: রয়টার্স, আরটি।
পুতিন বলেন, কৃষি সংকটের ক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। করোনা মহামারিতে উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে মূলত সংকটের সূচনা হয়। কিন্তু ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞার ফলে সংকট ত্বরান্বিত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, সার ও শস্য রপ্তানির মাধ্যমে খাদ্যঘাটতি নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখতে প্রস্তুত আমরা। কিন্তু সেজন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে হবে।
এর আগে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, নিজস্ব বাজারে নেতিবাচক প্রভাবের জন্য খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ করা হবে। খাদ্য সংকট নিয়ে পশ্চিমা নেতাদের দেয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় তিনি ওই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বিদেশিরা রাশিয়া ছাড়ায় লাভবান দেশি কোম্পানি: এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অনেক বিদেশি কোম্পানি রাশিয়া ছাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। কারণ এতে দেশীয় কোম্পানিগুলো লাভবান হতে পারবে। ইউক্রেন আক্রমণকে রাশিয়ার ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচনা করছেন পুতিন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মস্কোর একটি বিদ্রোহ। পুতিন বলেন, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়াকে অবজ্ঞা করছে দেশটি।
জানা গেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিপি থেকে ম্যাকডোনাল্ডসসহ বহু বিদেশি বিনিয়োগকারী রাশিয়া থেকে চলে যায়। এতে অর্থনৈতিকভাবে বিপাকে পরে রাশিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এরকম খারাপ অবস্থা কখনও দেখেনি রুশ প্রশাসন।
তবে বিদেশি কোম্পানিগুলো রাশিয়ার মাটি ছাড়ায় খুশি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এজন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের জায়গা যথাযথভাবে দখল করব। এরই মধ্যে রাশিয়ার ব্যবসা ও উৎপাদন বাড়তে শুরু করেছে বলেও জানান পুতিন।