নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনারস (বিও) হিসাবে পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান যমুনা ব্যাংক পিএলসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটি ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছিল। আর সেটি বিনিয়োগকারীদের হিসাবে পাঠিয়েছে।
আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯১ পয়সা। আগের হিসাববছরে যা ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৬৭ পয়সায় ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৫ টাকা ৮০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৯৮ পয়সায়। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা (ঘাটতি)।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল যমুনা ব্যাংকের পর্ষদ। ২০২১ হিসাববছরে ব্যাংকটি সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল যমুনা ব্যাংক। ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পায় শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৮ হিসাববছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এছাড়া ২০১৭ হিসাব বছরে ২২ শতাংশ স্টক ও ২০১৬ হিসাববছরে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) যমুনা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ১৬ পয়সা। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭ পয়সায়। আর প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫০ টাকা ১৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৬ টাকা ৬১ পয়সা।
যমুনা ব্যাংক পিএলসি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮৮২ কোটি ৭০ হাজার টাকা।
রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ৮৮ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ১৬৫। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ০১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫০১টি শেয়ার মোট ২১০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে।
