নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সুপারিশকৃত বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি আড়াই শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বোনাস লভ্যাংশ চূড়ান্ত করার আগে বিএসইসির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য কোম্পানিটি বিএসইসির কাছে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার অনুমোদন পেল। এদিকে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৯৩ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ৩ টাকা ৭৩ পয়সা। ঘোষিত এই লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ জুলাই বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান জানিয়েছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ জুন।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে বিএসইসির অনুমোদন ছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যু করা যায় না। বিএসইসি পর্যালোচনা করে যে কোম্পানিকে মনে হবে বোনাস দেয়ার জন্য উপযুক্ত, সেই কোম্পানিরই কেবল বোনাস অনুমোদন দেয়া হবে।
ব্যাংক খাতের এই কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির এক হাজার ৫০০ কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৮৮ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১০৮ কোটি ৮৬ লাখ ২৬ হাজার ৬৪২টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের তুলনায় ৮ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৮ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৭৬ পয়সা (ঘাটতি)।
এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য আড়াই নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ৩ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময় তার শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৭ পয়সা এবং ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৭৩ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে আড়াই শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। আলোচিত সময় তার শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক টাকা ৫০ পয়সা এবং ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬৭ পয়সা। আর এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ৯৯ পয়সা লোকসান।