নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ঘোষিত ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশে এখনও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মতি পায়নি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসি। সম্মতি পাওয়া সাপেক্ষে নতুন করে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করবে ব্যাংকটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ৩০ এপ্রিল ডিএসইতে সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পর্ষদ। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট আজ বৃহস্পতিবার। তবে স্টক লভ্যাংশে বিএসইসির সম্মতি না পাওয়ায় রেকর্ড ডেট কেবল নগদ লভ্যাংশের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরে ইউসিবির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে ১ টাকা ৫২ পয়সা, গত বছরের একই সময় যা ছিল ২ টাকা ২৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানি শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৮১ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৫ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৫৭ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ২৫ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৮ টাকা ৫৪ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৪২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নেট সম্পমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৩৫ পয়সা।
এদিকে, সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ৯১ হাজার ৩১১ শেয়ার মোট ৮৩ বার হাতবদল হয়, যা বাজারদর ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এদিন শেয়ারদর ১০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হলেও গত এক বছরের মধ্যে ব্যাংক খাতের কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে আসা ইউসিবির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৪৭৬ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার ৩৯৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১৪৭ কোটি ৬৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৭৬। এর মধ্যে ৩৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ সরকারি, ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪১ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।