শেয়ার বিজ ডেস্ক: যাত্রীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স সিরিজের উৎপাদন সাময়িক স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফেডালের অ্যাভিয়েশন (এফএএ)। খবর: এসসিএমপি।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে সংস্থাটি। এয়ারলাইনস ও উড়োজাহাজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে সংস্থাটির এ সিদ্ধান্ত।
এফএএ কর্তৃপক্ষ জানায়, পোর্টল্যান্ডের ঘটনা আর কখনও ঘটবে না। তারা বোয়িং ৭৩৭-৯ ম্যাক্সের উৎপাদন তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত শেষে বিমানগুলো পুনরায় উড্ডয়ন করতে পারবে। কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বোয়িং বর্তমান মাসিক হারে ম্যাক্স জেট উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারে, তবে এই উৎপাদনের হার নতুন করে আর বাড়ানো যাবে না। তবে এই সীমাবদ্ধতা কতদিন স্থায়ী হবে এবং বোয়িং প্রতি মাসে কতগুলো উড়োজাহাজ তৈরি করতে পারবে তা এখনও নির্ধারণ করে দেয়নি এফএএ।
গত ৫ জানুয়ারি আলাস্কা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এএস-১২৮২ ওরেগনের পোর্টল্যান্ড থেকে ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার সময় মাঝ আকাশে দরজার প্যানেল ছিঁড়ে যায়। ফলে প্লেনটি জরুরি অবতরণ করানো হয়। এতে কেউ হতাহত না হলেও ওই বিমানসহ বোয়িং ৭৩৭-৯ ম্যাক্সের মোট ১৭১টি বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এ ঘটনার পর বোয়িং কোম্পানি তাদের ভুল স্বীকার করে।
বহুদিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবারের মধ্যে যাত্রী পরিসেবায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল আলাস্কা এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বোয়িং উড়োজাহাজগুলোর। কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসতে না আসতেই ফেডারেল এভিয়েশনের সিদ্ধান্ত দুটি এয়ারলাইন্সের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং ইউরোপীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা এয়ারবাসের সঙ্গে জেট বাজারে ব্যবধান বন্ধ করতে বোয়িং তার সর্বাধিক বিক্রিত ৭৩৭ ম্যাক্সের উৎপাদন বাড়াতে চাইছিল। কিন্তু ঠিক তখনই নিষেধাজ্ঞা এসেছে এফএফএ থেকে।
এরপর গত ১৩ জানুয়ারি নিপ্পন এয়ারলাইন্সের একটি চলন্ত বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এর জানালায় ফাটল ধরায় তোয়মো বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য ফিরে আসে। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ জেটের পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন নিহত হয়।
গত কয়েক বছরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটতে থাকায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে বোয়িংয়ের সুরক্ষা ব্যবস্থা। এর প্রেক্ষিতেই প্রতিনিয়ত নানা রকমের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।