ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে ভাবেন না তাইজুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক: এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। সামনে আরও একটির হাতছানি। তবে ব্যক্তিগত এসব অর্জন নিয়ে মোটেও ভাবেন না তাইজুল ইসলাম। তার চাওয়া স্রেফ দলের হয়ে ভালো খেলে যাওয়া।
চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩ রানে ৬ উইকেট নেন তাইজুল। তাতে এ বাঁহাতি বাংলাদেশের সেরা পাঁচ বোলিং ফিগারের দুটিই এখন তার। ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে রেকর্ডের শীর্ষেও তিনি। এদিকে এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ডে মোহাম্মদ রফিককে ছাড়িয়ে গেছেন এ স্পিনার। ২০০৩ সালে রফিকের উইকেট ছিল ৩৩টি। এ বছর এখনও পর্যন্ত তাইজুলের উইকেট ৪০টি।
২০১৪ সালে অভিষেক ওয়ানডেতে প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছিলেন তাইজুল। এখন তার অপেক্ষায় আর দুটি কীর্তি। কাগিসো রাবাদার ৪৬ উইকেট এ বছর এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে দারুণ কোনো পারফরম্যান্স দেখালে শীর্ষে উঠতে পারেন তিনি।
২২ টেস্টে এখন পর্যন্ত তাইজুলের উইকেট ৯৪। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ১০০ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড সাকিব আল হাসানের, ২৮ টেস্টে। পরের ৬ উইকেট নিতে ৫ টেস্ট লাগলেও রেকর্ড হয়ে যাবে তাইজুলের। তবে ব্যাপারটি মাথায় আনতে চান না এ বাঁহাতি, ‘আমার মাথায় এত কিছু নেই। সবসময় ভালো বোলিং করার চেষ্টা করি, সেটাই করে যাব। বরাবরই যে চিন্তা থাকে, সেটাই করে যাব। উইকেট যদি কপালে থাকে, আসবে। আসলে ভালো বল করলে উইকেট
পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমি ভালো বল করার চেষ্টাটাই করব।’
চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব থাকার পরও দলের সফলতম বোলার হতে পারা বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে তাইজুলকে, ‘আসলে আমাদের এশিয়ায় বলেন, বা বাইরে, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কারও তুলনা করা যায় না। তারপরও সাকিব ভাই থাকার পরও যখন আমি উইকেট পাই, তখন অনেক ভালো লাগে। মনে হয়, একদিন সাকিব ভাইয়ের মতো হয়তো হতে পারব না, তবে কাছাকাছি অন্তত যেতে পারব। এ রকম মনে হয়। কিন্তু সাকিব ভাই একজনই, উনার তুলনা আসলে কারও সঙ্গে হয় না।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০